9/27/2007

এনটিএফএসে ডাটা লেখা

উবুন্তুতে হার্ডডিস্কের এনটিএফএস (NTFS) পার্টিশন পড়ার সুবিধা আছে। কিন্তু লেখার সুবিধাটা প্রথমেই দেয়া থাকে না। আমাদের অনেকেরই এনটিএফএস ফরম্যাটে হার্ডডিস্ক রয়েছে। সেই হার্ডডিস্কে ডাটা লিখতে বা ফাইল/ফোল্ডার তৈরী করতে আমাদের ছোট্ট একটা কাজ করতে হবে। সেটা হচ্ছে ntfs-3g ইনস্টল করা।

এটা ইনস্টল করতে হবে চিরাচরিত উবুন্তু প্রথায়। অর্থাৎ এটা উবুন্তু রিপোজিটরিতেই বিদ্যমান। এজন্য আলাদা কোন কিছু ডাউনলোড করতে হবে না। প্রথমে এড/রিমুভ সফটওয়্যার চালু করুন
Applications > Add/Remove...

ntfs

তারপর সার্চ বক্সে লিখতে থাকুন ntfs। দেখবেন NTFS Configuration Tool নামে একটা প্যাকেজ দেখা যাচ্ছে। এবারে সেটা সিলেক্ট করুন। তারপর ওকে চাপুন। আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে। তাকে পাসওয়ার্ড দিন। আপনার এনটিএফএস ফুল সাপোর্ট ইনস্টল হয়ে যাবে।

এবারে Applications > System Tools > NTFS Configuration Tool চালু করুন।

NTFS2

এবারে ইন্টারন্যাল/এক্সটার্ন্যাল দু'ধরণের ড্রাইভেই রিড/রাইট এনাবল/ডিজ্যাবল করতে পারবেন।

ntfs-config

এখন থেকে এনটিএফএস ফরম্যাটেড হার্ডড্রাইভ পড়তে লিখতে কোন রকম অসুবিধা হবে না।

9/06/2007

ভার্চুয়ালবক্স

লিনাক্সে প্রচুর পরিমাণে সফটওয়্যার পাওয়া গেলেও আমরা অনেকেই উইন্ডোজের কিছু সফটওয়্যারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। অথবা আপিসের প্রয়োজনীয় কাজগুলো উইন্ডোজের সফটওয়্যারে করতে হয়। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হয় যখন আপিস থেকে শুধুমাত্র উইন্ডোজের জন্য তৈরী সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য চাপ দেয়া হয়। এমতাবস্থায় কী করা যায়?

এ সমস্যার কয়েক ধরণের সমাধান আছে। প্রথম সমাধান হলো, সফটওয়্যারটির একটা বিকল্প খুঁজে বের করা। প্রায় সময়ই ভালো বিকল্প পাওয়া যায়, যা কিনা প্রায় পুরোপুরি কম্প্যাটিবল হয়। কিন্তু এভাবে সবসময় সমস্যার সমাধান হয় না। অর্থাৎ ওই সফটওয়্যারটি ছাড়া অন্য কোন কিছু ব্যবহার সম্ভবপর হয় না। এরও কয়েক ধরণের সমাধান আছে।

প্রথমটি হলো wine ব্যবহার করা। wine একটা উইন্ডোজ এপিআই লেয়ার তৈরী করে লিনাক্সের উপর। ফলে উইন্ডোজের জন্য তৈরী সফটওয়্যারগুলো লিনাক্সে ইনস্টল করা যায় সহজেই।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহার করা। অর্থাৎ কম্পিউটারের ভিতরে আরেকটা কম্পিউটার বানিয়ে সেখানে উইন্ডোজ ইনস্টল করা। এটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। তবে এ পদ্ধতির খারাপ দিক হচ্ছে প্রসেসর স্পিড ভালো হওয়া চাই এবং প্রচুর পরিমাণে মেমরি থাকাও আবশ্যক। কমপক্ষে ১গিবা না হলে এ পদ্ধতি খুব একটা কাজে লাগে না।

আপিসে আমাকে উইন্ডোজের কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। তাই উবুন্তুতে আমি ভার্চুয়ালবক্স ইনস্টল করে নিয়েছি। এটি খুবই দারুণ একটা ভার্চুয়ালাইজেশন সফটওয়্যার যা কিনা পুরোপুরি ওপেনসোর্স। বর্তমানে ভার্সনে (১.৫.০) খুবই মজার একটা ফিচার আছে। সেটা হচ্ছে সিমলেস উইন্ডোজ। অর্থাৎ উইন্ডোজ ডেস্কটপ অদৃশ্য হয়ে যাবে যাতে মনে হবে উইন্ডোজ আর লিনাক্স মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। নীচের ছবিতে দেখুন
lin-win
অবশ্য এটা ম্যাকের প্যারালাল বা ভিএমওয়্যারের মত এতটা ফিচারসমৃদ্ধ নয়। তবে আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই ওসব ফিচারগুলো যুক্ত হবে।